ভারতের সঙ্গে অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙে দিয়েছি, তারা আমাদের বন্ধু: কাদের

ছবি সংগৃহীত

 

১৯৯৬ সালের আগের ২১ বছর যারা ক্ষমতায় ছিল প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে তারা শুধু শত্রুতাই সৃষ্টি করেছে। তাদের থেকে কোনো অধিকার আদায় করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি করে। এখন ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক যে উচ্চতায় পৌঁছেছে তাতে অবিশ্বাস ও সংশয়ের দেয়াল ভেঙে গেছে বলে মনে করেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

 

আজ  বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের গজনবী রোডে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে ২১ বছর শত্রুতা করে আমাদের কোনো লাভ হয়নি। বিএনপি শত্রুতা করে সংশয়, অবিশ্বাস সৃষ্টি করেছিল। সে কারণে সম্পর্কের উন্নতি হয়নি। শেখ হাসিনা সে অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙে দিয়েছেন।

 

‘আওয়ামী লীগ ভারতের করুণায় ক্ষমতায় আছে’ বিএনপির এমন অভিযোগের জবাব দিয়ে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ভারত আমাদের বন্ধু, কারো দাসত্ব করি না। আমাদের শক্তির উৎস এদেশের মানুষ, জনগণ। ভারতে কাছে আমরা ক্ষমতা চাই না, বন্ধুত্ব চাই। কারণ এটা আমাদের স্বার্থেই দরকার। শত্রুতা করে আমাদের ক্ষতি করেছে ২১ বছর। আমরা সে অবস্থায় ফিরে যেতে চাই না।

 

ভারতের সঙ্গে করা বিভিন্ন চুক্তির কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা বলতে চাই, গঙ্গার পানি শেখ হাসিনাই এনেছেন। পানির চুক্তি কে করেছেন? শেখ হাসিনা। সীমান্ত সমস্যার চুক্তি কে করেছেন? শেখ হাসিনা ও ভারতে প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের মতো আরেকটি বাংলাদেশ আমরা সমুদ্র পেয়েছি আদালতের মাধ্যমে।

 

বিএনপির নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘গতকাল পল্টনে বিএনপি গয়েশ্বর চন্দ্র এক পশলা মিথ্যাচার করে গেলেন। গয়েশ্বর বাবু কোথায় ছিলেন এতদিন? কোথা থেকে এলেন? কোথায় পালিয়ে ছিলেন? ভারতে? মাথায় উঠেছে গান্ধী টুপি। এখন ভন্ডামি শুরু করেছেন। গয়েশ্বর কালকে পল্টনে দাঁড়িয়ে আমাদের বলে ভারতের দালাল। এই অপবাদ তো আইয়ুব খান, এহিয়া খানরা দিয়েছে।

 

বিএনপির সমালোচন করে কাদের বলেন, ‘ভারতের যখন নির্বাচন হয়, ছুটির দিন ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে দাঁড়িয়েছিল, দালাল কারা? ভারতে গিয়ে গঙ্গার পানির কথা ভুলে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করলো, আপনি ভারত সফর করলেন, গঙ্গার পানির কী হলো? তিনি বললেন আমি তো ভুলে গেছি। দালাল কারা?’

 

জাতীয় নির্বাচনে ৪২ শতাংশ লোক তাদের ভোট দিয়েছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনার উন্নয়ন অর্জনকে স্বীকৃতি দিয়েছে বাংলাদেশের ৪২ শতাংশ ভোটার। এই নির্বাচন আজকে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। উপজেলা নির্বাচন জনগণ নাকি প্রত্যাখ্যান করেছে। তাহলে ৩৬ থেকে ৪০ শতাংশ লোক ভোট দিল তারা কারা? তারা এই দেশের জনগণ। তার উন্নয়নে, অর্জনে মুগ্ধ।

 

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা  প্রমুখ।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» পাচারের ১৭ লাখ কোটি ফেরাবে কে

» মিয়ানমারের বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল এপারের বাড়িঘর

» ইয়াবাসহ ২ রোহিঙ্গা আটক

» অবশেষে ভেঙে গেল ধানুশ-ঐশ্বরিয়ার ১৮ বছরের সংসার

» মেসিকে ২০২৬ পর্যন্ত রেখে দিতে চায় ইন্টার মায়ামি

» দক্ষিণ লেবাননের ১০ গ্রামে প্রবেশে ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞা

» সরকারের সংস্কার উদ্যোগে পূর্ণ সমর্থন জার্মান রাষ্ট্রদূতের

» বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে হেফাজতের বিক্ষোভ সমাবেশ আজ

» ডিসেম্বরেই জেঁকে বসতে পারে শীত

» আজ শুক্রবার রাজধানীর যেসব এলাকা-মার্কেট বন্ধ

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

ভারতের সঙ্গে অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙে দিয়েছি, তারা আমাদের বন্ধু: কাদের

ছবি সংগৃহীত

 

১৯৯৬ সালের আগের ২১ বছর যারা ক্ষমতায় ছিল প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে তারা শুধু শত্রুতাই সৃষ্টি করেছে। তাদের থেকে কোনো অধিকার আদায় করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি করে। এখন ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক যে উচ্চতায় পৌঁছেছে তাতে অবিশ্বাস ও সংশয়ের দেয়াল ভেঙে গেছে বলে মনে করেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

 

আজ  বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের গজনবী রোডে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে ২১ বছর শত্রুতা করে আমাদের কোনো লাভ হয়নি। বিএনপি শত্রুতা করে সংশয়, অবিশ্বাস সৃষ্টি করেছিল। সে কারণে সম্পর্কের উন্নতি হয়নি। শেখ হাসিনা সে অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙে দিয়েছেন।

 

‘আওয়ামী লীগ ভারতের করুণায় ক্ষমতায় আছে’ বিএনপির এমন অভিযোগের জবাব দিয়ে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ভারত আমাদের বন্ধু, কারো দাসত্ব করি না। আমাদের শক্তির উৎস এদেশের মানুষ, জনগণ। ভারতে কাছে আমরা ক্ষমতা চাই না, বন্ধুত্ব চাই। কারণ এটা আমাদের স্বার্থেই দরকার। শত্রুতা করে আমাদের ক্ষতি করেছে ২১ বছর। আমরা সে অবস্থায় ফিরে যেতে চাই না।

 

ভারতের সঙ্গে করা বিভিন্ন চুক্তির কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা বলতে চাই, গঙ্গার পানি শেখ হাসিনাই এনেছেন। পানির চুক্তি কে করেছেন? শেখ হাসিনা। সীমান্ত সমস্যার চুক্তি কে করেছেন? শেখ হাসিনা ও ভারতে প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের মতো আরেকটি বাংলাদেশ আমরা সমুদ্র পেয়েছি আদালতের মাধ্যমে।

 

বিএনপির নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘গতকাল পল্টনে বিএনপি গয়েশ্বর চন্দ্র এক পশলা মিথ্যাচার করে গেলেন। গয়েশ্বর বাবু কোথায় ছিলেন এতদিন? কোথা থেকে এলেন? কোথায় পালিয়ে ছিলেন? ভারতে? মাথায় উঠেছে গান্ধী টুপি। এখন ভন্ডামি শুরু করেছেন। গয়েশ্বর কালকে পল্টনে দাঁড়িয়ে আমাদের বলে ভারতের দালাল। এই অপবাদ তো আইয়ুব খান, এহিয়া খানরা দিয়েছে।

 

বিএনপির সমালোচন করে কাদের বলেন, ‘ভারতের যখন নির্বাচন হয়, ছুটির দিন ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে দাঁড়িয়েছিল, দালাল কারা? ভারতে গিয়ে গঙ্গার পানির কথা ভুলে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করলো, আপনি ভারত সফর করলেন, গঙ্গার পানির কী হলো? তিনি বললেন আমি তো ভুলে গেছি। দালাল কারা?’

 

জাতীয় নির্বাচনে ৪২ শতাংশ লোক তাদের ভোট দিয়েছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনার উন্নয়ন অর্জনকে স্বীকৃতি দিয়েছে বাংলাদেশের ৪২ শতাংশ ভোটার। এই নির্বাচন আজকে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। উপজেলা নির্বাচন জনগণ নাকি প্রত্যাখ্যান করেছে। তাহলে ৩৬ থেকে ৪০ শতাংশ লোক ভোট দিল তারা কারা? তারা এই দেশের জনগণ। তার উন্নয়নে, অর্জনে মুগ্ধ।

 

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা  প্রমুখ।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com